এবার চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ঈদুল আজহার বন্ধকালীন সময়ে অনুমতি ছাড়া স্থানীয় প্রভাবশালী যুবকরা ডিজে পার্টি ও মদের আসর বসানোর অভিযোগ উঠেছে। এই ধরণের কাজে বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকও জড়িত আছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন একাধিক শিক্ষার্থী।
এ বিষয়টি গোপন থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গ্রুপে এসব তথ্য, ডিজে পার্টি ও মদের বোতলের ছবি চলে আসে। এই ঘটনায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে বিষয়টি স্বীকার করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমান হোসেন।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা জানান, ঈদ পরবর্তী গত ১৮ জুন দিনগত রাতে স্থানীয় বাসিন্দা সোলেমান মাঝির ছেলেসহ তার সহপাঠীরা বিদ্যালয়ে ডিজে পার্টি করে। একই সময় বসে মদের আসর। মদের খালি বোতল পড়েছিল একাডেমিক ভবনের বারান্দা ও মাঠে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ে ওইদিন নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব ছিল মোক্তার কাজী নামে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী। কিন্তু তিনি ওইদিন রাতে বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন না করে অন্য কাউকে দিয়ে যান। পরে তিনি রাত ১২টার পরে বিদ্যালয়ে আসেন।
এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমান হোসেন প্রথমে বিষয়টি জানেন না বললেও পরবর্তীতে ঘটনার বিবরণ জেনে সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি ঘটনার রাতে স্থানীয় হোসাইন বেপারী নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে এই ঘটনা জানতে পারি। ওই সময় নৈশ প্রহরী মোক্তার কাজী ছিলেন না।
তিনি ব্যক্তিগত কোনো কাজে বাহিরে ছিলেন। রাত ১২টার পরে তিনি বিদ্যালয়ে আসেন। ঘটনাটি জেনে আমি তাৎক্ষণিক বহিরাগত যুবকদের চলে যাওয়ার জন্য বলি। এই ঘটনায় নিউজ করার দরকার নেই। আমি বিষয়টি পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসার প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, আমি বিষয়টি জেনে খুবই মর্মাহত। কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরণের কর্মকাণ্ড কাম্য নয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো দেখবে। কোনো প্রয়োজন হলে আমাদেরকে জানাবে। তারপরেও আমি বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলবো।